Story islamic -Quran Tilawat-দেখুন কুরআনের যে আয়াতটি জ্বীনেরা সবচেয়ে বেশি ভয়পায়!!

আয়তুল কুসরী পাঠকারী শয়তান ও জিনের অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকে ।

আয়াতুল কুরসির ফজিলত সম্পর্কে উবাই ইবনে কা’ব (রহঃ) এর পিতা তাকে বলেন। আমার খেজুর ভর্তি একটি বস্তা ছিল এবং প্রতিদিন সেটা আমি পরিদর্শন করতাম।

কিন্তু একদিন কিছুটা খালি রেখে রাত জেগে পাহারা দিলাম। হঠাৎ দেখতে পেলাম যুবক ধরনের কেউ একজন এল। আমি তাকে সালাম দিলাম।

Quran Tilawat

সে সালামের উত্তর দিল। অতঃপর জিজ্ঞেস করলাম তুমি কি জিন না ইনসান। সে বলল আমি জিন। আমি বললাম তোমার হাতটা বাড়াও তো. সে বাড়ালে আমি তার হাতে হাত বুলাই।

হাতটা কুকুরের হাতের গঠনের মতো এবং কুকুরের লোমে রয়েছে। আমি বললাম সব জিনকি এধরনের সে বলল সব দিনের মধ্যেই আমি সর্বপেক্ষা।

বেশি শক্তিশালী।

এরপর আমি তাকে বললাম যে উদ্দেশ্যে তুমি এসেছ তা তুমি কিভাবে সাহস পেলেন। সে উত্তরে বলল আমি জানি যে আপনি দান প্রিয়। তাই ভাবলাম সবাই যখন আপনার নেয়ামতের দ্বারা উপকৃত হচ্ছে।

তাহলে আমি কেন বঞ্চিত হব। অবশেষে তাকে জিজ্ঞাসা করলাম তোমাদের অনিষ্ট হতে কোন জিনিস রক্ষা করতে। পারে সে বলল তা হলো আয়তুলকুসরী। সকালে উঠে রাসুল(সাঃ) কাছে গিয়ে রাতের ঘটনাটি বললে।

হুজুর (সাঃ) বলেন দুষ্টু তো ঠিকই বলেছে। সুবাহান আল্লাহ। .হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু একদিন দেখতে পেলেন একজন অগণিত সৎকার মাল চুরি করছে। .তখন তিনি আগন্তকের হাত ধরে বললেন। Quran Tilawat

আল্লাহর কসম আমি তোমাকে আল্লাহ রাসূলের কাছে নিয়ে যাবো। তখন আগন্তুক বলেন যে সে খুব অভাবী আর তার অনেক টাকা পয়সার প্রয়োজন। তাই দয়া করে হুজুর আবু হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু তাকে ছেড়ে দিলেন।

পরদিন সকালে রাসূল (সাঃ) আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহুকে জিজ্ঞাসা করলেন,
গতকাল তোমার অপরাধী কে ছেড়ে দিয়েছিলে?

হযরত আবুহুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু তখন তাকে ক্ষমা করার কথা উপস্থাপন করলেন। রাসুল (সাঃ) এর কাছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, অবশ্যই সে তোমাকে মিথ্যা বলেছে আর সে আবার আসবে।

পরদিন আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু অপেক্ষা যখন সে আবারও চুরি করতে আসলো তখন তিনি তাকে পাকড়াও করলেন। আর বললেন এবার অবশ্যই আমি তোমাকে আল্লাহর রাসুল এর কাছে নিয়ে যাবো।

কিন্তু এবারও সে বলল সে খুব অভাবি আর তার অনেক প্রয়োজন। আর শপথ করে যে আর আসবেনা। প্রতিবারই তার অনুনয়-বিনয় এর কাছে হার মেনে যায়।

পরদিন আবারও সাল্লাম ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞাসা করলেন। তোমার সেই চোর এসেছিল। তিনি বললেন জি রাসুল (সাঃ) সে তো আবার এসেছিল এবং সে আবারও একই অভিযোগ দিল আর আমি তাকে ছেড়ে দিলাম .

মজার ব্যাপার রাসুল (সাঃ) তাকে এবারও বললেন আসলেই সে তোমাকে মিথ্যে বলেছে। আর সে আবার আসবে। কিন্তু রাসুল সালাম একথা বললেন যে। সে আসলে তুমি তাকে আমার নিকট ধরে নিয়ে এসো।

পরদিন আবারও হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু এর জন্য অপেক্ষা করতে লাগলেন। আর যখন সে চোর আবারো চুরি করতে আসলো তখন তিনি তাকে পাকড়াও করলেন। Quran Tilawat

আর বললেন এবার অবশ্যই আমি তোমাকে আল্লাহর রাসূলের কাছে নিয়ে যাবো। তুমি বারবার শপথ করো আর চুরি করতে আসো।

সে যখন দেখলো এবার সে সত্যি রাসুল (সাঃ) কাছে নিয়ে যাবে তখন অবস্থা বেগতিক দেখে সে বলল আমাকে মাফ করো. আমি তোমাকে এমন কিছু বলে দেবো যা মাধ্যমে আল্লাহ তোমাকে কল্যাণ দান করবে।

সেটা জানতে চাইলে চোর বলল যখন ঘুমাতে যাবে তখন আয়তুলকুসরী পরে ঘুমাবে। তাহলে আল্লাহ তোমার জন্য একজন পাহারাদার নিযুক্ত করবে।

সে ফেরেশতা তোমার সঙ্গে থাকবে আর কোন শয়তানের সকাল পর্যন্ত তার কাছে আসতে পারবে না. এমনকি চোর-ডাকাত যেকোনো ধরনের অনিষ্ট থেকে আল্লাহপাক তোমাকে রক্ষা করবেন।

এটা শুনে তাকে খুশি হয়ে ছেড়ে দিলেন। পরদিন রাসুল সালাম অপরাধের কথা জানতে চাইলেন তিনি আগের রাতের কথা বললেন।

এবং বললেন যে ইয়া রাসূলাল্লাহ সে অপরাধী তো আমাকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ এক
আমল সম্পর্কে জানিয়ে গেল তখন রাসূল (সাঃ) বললেন যদিও সে চরম মিথ্যাবাদী কিন্তু সে সব শেষ তোমাকে একটি সত্য এবং গুরুত্বপূর্ণ আমলের কথা বলেছে।

রাসূল (সাঃ) আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বললেন তুমি কি জানো সে কে?আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন না আমি তো জানিনা।

রাসূল (সাঃ)আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বললেন সে হচ্ছে শয়তান। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু বলেন একটি বন্দি জিন আমাকে বলেছে তখন আপনি বিছানায় শুতে যাবেন তখন আয়তুলকুসরী প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন। তাহলে আপনি সেই রাতে এক মুহূর্তের জন্য আল্লাহর হেফাজতের বহির্ভূত হবেন না. আর সকাল পর্যন্ত শয়তান আপনার নিকটবর্তী হতে পারবেনা।

উপরোক্ত সে রাতে যা কিছু হবে সব হবে সবি কল্যাণকর হবে। পরিশেষে রাসূল (সাঃ) বললেন সে মিথ্যাবাদী হলেও এটা সত্য বলেছে। Quran Tilawat

তবে হে আবূ হুরায়রা জানো কি তুমি এই তিন রাত কার সঙ্গে কথা বলেছিলে। আমি বললাম না। রাসূল (সাঃ) বলেন সে ছিল শয়তান। শুধু তাই নয় আয়তল কুসরী পাট দ্বারা সোজা জান্নাতে যাওয়া যায়।

রাসুল (সাঃ) বলেছেন প্রত্যেক ফরয সালাত শেষে আয়াতুল কুরসি পাঠ কারি জান্নাতে প্রবেশ করার জন্য আর কোনো বাধা থাকে না, মৃত্যু ব্যতীত।

সুবাহানাল্লাহ আয়াতুল কুরসির এত ফজিলত জানলাম চলুন কোরআন শরীফের সব শ্রেষ্ঠ মহান সে আয়তূল আয়াতগুলো অর্থ একবার জেনে নেই ,আল্লাহ যিনি তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই তিনি চিরঞ্জীব ও বিশ্বচরাচোরের ধারক।

কোন তন্দ্রা ও নিদ্রা তাকে পাকড়াও করতে পারেনা। আসমান ও যমীনে যা কিছু আছে সব কিছুই তার মালিকানাধীন তার হুকুম ব্যতীত এমন কে আছে যে তার নিকট সুপারিশ করতে পারে।

তাদের সম্মুখে ও পিছনে যা কিছু আছে সব কিছুই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসমুদ্র হতে তার কিছুই আয়ত্ত করতে পারে না।

কেবল যতটুকু তিনি দিতে ইচ্ছা করেন তা ব্যতীত। তার কুরসি সমগ্র আসমান ও জমিন পরিবেশ করে আছে। আর সেগুলো তত্ত্বাবধান তাকে মোটেও পরিশ্রান্ত করে না।

তিনি সর্বোচ্চ ও মহান। Quran Tilawat

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *